বিশেষ প্রতিনিধি->>
ফফুলগাজীতে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ধর্ষনের শিকার বিচারপ্রার্থী সেই নারীটি আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।গত ১২ এপ্রিল ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন এর আদালতে সে জবানবন্দি দেন। ধর্ষিতা বিচারপ্রার্থী সেই নারীর জবানবন্দিটি “প্রথম ফেনীর”প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।পাঠকদের অনুরোধে তা তুলে ধরা হলো- আদালতে দেয়া জবানবন্দিততে নির্যাতিত সেই নারী বলেন”তার স্বামী মনির আহাম্মদ পূর্বে একটি বিবাহ করে।পরে তার সাথে আমার বিয়ে হয়।এনিয়ে নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান সালিশ করেন।ঘটনা দিন গত ১১ এপ্রিল নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান তার বড় বোনের মোবাইলে ফোন করে তাদের এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারের ফোন নাম্বার নিয়ে তাকে ইউপি কার্যালয়ে যেতে বলেন।তিনি ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে তার বোনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ইউপি
কার্যালয়ে যান।তখন চেয়ারম্যান তার কার্যালয়ের ২য় তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।ইউনিয়নের চৌকিদার ওই নারীকে চেয়ারম্যানের কক্ষে যাওয়ার জন্য বলেন।তখন সে তার বোনের ছেলেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে যান।কিছুক্ষণ কথা বলার পর চেয়ারম্যান দারোয়ানকে ডেকে ১ হাজার টাকা দেন এবং বলেন সাইফুলকে দিয়ে তার জন্য সিগারেট ও নাস্তা আনার জন্য।সাইফুল টাকা নিয়ে
দোকানের দিকে গেলে চেয়ারম্যান দারোয়ানকে নিচের গেইট লাগিয়ে দিতে এবং কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলতে যে চেয়ারম্যান নাই।তারপর চেয়ারম্যান ওই নারীকে বোরকা খুলতে বলেন তার চেহারা দেখার জন্য।তিনি খুলতে অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান উঠে হঠাৎ তাকে জড়িয়ে ধরে তার বোরকা খুলে ফেলেন।এরপর জোরপূর্বক তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ও তাকে চুম্বন করতে থাকেন।তিনি চিৎকার করে নিজেকে জড়িয়ে ধরে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে তার পরিহিত পায়জামা ছিড়ে ফেলে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন শুরু করেন।চিৎকার করার পরও চেয়ারম্যান জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করতে থাকেন।এক পর্যায়ে তিনি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে চেয়ারম্যানের রুম থেকে বের হয়ে চিৎকার শুরু করেন।এরপর সেখানে তার বোনের ছেলে সাইফুল এসে সেও চিৎকার করে এবং
বিষয়টি তার দেবরকে জানান।পরে দারোয়ান গেইট খুলে দিলে তিনি সেখান থেকে বাড়ীতে ছলে আসেন।বাড়ীতে আসার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ও তার মুখ দিয়ে লালা বের হতে থাকে।একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে হাসপাতালে
নেয়া হয়। জ্ঞান ফেরার পর সে হাসপাতালে ও পরে থানায় গিয়ে পুলিশকে বিস্তারিত ঘটনা বলেন।এরপর তাকে পুণরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়।

তিনি এ ঘটনার বিচার চান।”এর আগে গত ১১ এপ্রিল বুধবার ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ওইদিন রাতে থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।