শেখ আবদুল হান্নান->>
সোনাগাজীর উপকূলীয় চরচান্দিয়া ইউনিয়নে একই রাতে দুই বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের হামলায় নারীসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম চরচান্দিয়া ও ওলামাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এই দুই বাড়ি থেকে ডাকাত দল ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, মূল্যবান জিনিসপত্র সহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মধ্যম চরচান্দিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের নতুন বাড়িতে ৮ থেকে ১০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে।

ঘরের পাঁচটি আলমারির তালা ভেঙে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ টাকা এবং ২টি মোবাইল ফোন, কাপড়চোপড়সহ ৫ লাখ টাকার মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এ সময় পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে ডাকাতেরা দুলাল হোসেন(৪৭),বেলাল হোসেন (৪২), কামাল উদ্দিন (৩৭),আমেনা বেগমসহ (৩০)পাঁচজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেলাল ও দুলাল ঢাকা মেডিক্যাল ফেনী ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একই রাতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামাবাজার সংলগ্ন ফকির বাড়ির আবদুল মোমিন ঘরে ৮ থেকে ১০ জনের মুখোশধারী একদল সশস্ত্র ডাকাত ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনটি আলমারির তালা ভেঙে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার,নগদ ২ লাখ টাকা এবং ২টি মোবাইল ফোনসহ সাত লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।

আজ সোমবার সকালে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম,ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হিরন,মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত)হারুনুর রশিদ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন, ইউপি সদস্য নূর হোসেন ঘটনাস্থল দুটি পরিদর্শন করেছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হারুনুর রশিদ বলেন, ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ ডাকাতদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত;এ নিয়ে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সোনাগাজীতে আটটি ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। এর মধ্যে চরচান্দিয়া ইউনিয়নে দুটি ও নবাবপুর ইউনিয়নে ছয়টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।