বিশেষ প্রতিনিধি->>
যে মোটরসাইকেলটির কারনে দাগনভূইয়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীকে খুন করা হলো সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।রোববার রাত ৮টার দিকে ফেনীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী বাজারের মামুন অটো ওয়ার্কসপ থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্বার করা হয়।

দাগনভূইয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান,আটক বাহাদুরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়,যে মোটরসাইকেলটির দাবীকৃত চাঁদার জন্য ফখরুল কে খুন করা হয়,সেটি পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে মামুন অটো ওয়ার্কসপ নামে একটি হুন্ডা গ্যারেজে রাখা আছে।পরে তার দেওয়া তথ্য রোববার রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে এ্যাপাচি ১৫০ সি সি (কুমিল্লা-ল ১১-৪৯৭৯) উদ্বার করা হয়।

এদিকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে ওসি জানান,নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো মামলা করা হয়নি।তবুও রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে।আটক হিরো ও বাহাদুরের দেওয়া তথ্য মতে ফখরুল উদ্দিন হত্যা করতে একটি হাইস গাড়ি ব্যবহার করা হয়।সেই কিলিং মিশনে কমপক্ষে ৫ জন অংশ নেয়।এবং বাহির থেকে আরো বেশ কয়েকজন এঘটনা ঘটাতে সাহায্য করে।আমরা আশা করছি বাকী আসামিদের অচিরেই গ্রেপ্তার করতে পারবো।

প্রসঙ্গত;গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দাগনভূইয়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু হিরো,বাহাদুর,দিদার ও পারভেজ।পরে তার গলাকাটা মৃতদেহ মাতুভূইয়া বাজার সংলগ্ন একটি ফসলি জমি থেকে উদ্বার করে পুলিশ।
নিহতের বড় বোন শাহীনুর আক্তার জেসমিন সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১০ দিন আগে তার ভাই ফকরুল এর একটি এ্যাপাচি মোটরসাইকেল তার বন্ধু হিরো,বাহাদুর,জাকের,পারভেজ আটক করে।পরে তারা মোটরসাইকেলটি জিন্মি করে তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবী করে।পরে ওই দিন রাতে দাবীকৃত টাকা নিয়ে তাদের কাছে গেলে তারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।মামলার বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান,তার ভাইরা প্রবাস ফেরা মাত্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।