বিশেষ প্রতিনিধি->>

সোনাগাজীতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে আগে ফুল দেয়া ও পরস্পর বিরোধী স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।এসময় স্থানিয় স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্যাহ ও উপজেলা বিএনপির পুষ্পমাল্য ভাঙচুর করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার সকালে সাড়ে ৭টায় সোনাগাজী মুক্তিযুদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনীর পর মুক্তিযুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদির দিকে ফেনী-৩ আসনের সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ তার সমর্থকদের এগিয়ে যেতে চাইলে ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী সমর্থীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী তার গতিরোধ করে সাংসদকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে বাধা দেয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় এবং আাওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সাংসদের পুষ্পমাল্য ভাঙচুর করে। উপস্থিত পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে সাংসদের পুষ্পমাল্য অর্পণের পূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ তার সমর্থকদের নিয়ে ভাঙা মাল্য অর্পণ করেন।
এ ব্যাপারে সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ এ ঘটনার জন্য ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীকে দায়ী করে বলেন, নিজাম হাজারী লালিত সিন্ডিকেট নেতারা অন্যায়ভাবে তার পুষ্পমাল্য ভাঙচুর করেছে। তারা এ ঘটনার মাধ্যমে মহান মুক্তি যুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের অসম্মানিত করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।

তবে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, সাংসদ হাজী রহিম উল্যাহ কিছু জলদস্যু ও চিহ্নিত সন্ত্রাসি নিয়ে জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠে গেলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জিয়ার সৈনিক এক হও বলে স্লোগান দিয়ে শহীদ বেদির দিকে এগিয়ে গেলে, স্লোগান কেন দিল, প্রশ্ন তুলে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আবদুল হালিম সোহেলের নেতৃত্বে একদল যুবলীগ কর্মী বিএনপির পুষ্পমাল্য ভাঙচুর করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে তারা ভাঙা মাল্য অর্পণ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির বলেন, শহীদ বেদিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোথাও কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি।