image
image

নাজমুল হক শামীম,২৬ অক্টোবর–>>

ফেইসবুকে পরিচয় সূত্রতায় প্রেমের জের ধরে করে ফাতেমা আক্তার (২০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে পাশ্ববিক নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। রোবাবর দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই আবদুল আলিম জানান, বাগের হাট জেলার মংলা উপজেলার পূর্ব সেহেনা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে ফাতেমা আক্তার দীর্ঘদিন নারায়নগঞ্জের ফ্যাশেন গার্মেন্টস চাকুরি করতো। চাকুরির সুবাদে নারায়নগঞ্জের বোনের বাড়িতে থাকতো ফাতেমা। সম্প্রতি মোবাইল ফোনে ও ফেইসবুকের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়া গুনবতি এলাকার সাগর টেলিকমের সত্তাধিকারী সাগরের সাথে পরিচয় ও প্রেম হয়। গত ২৪ অক্টোবর প্রেমিক সাগর ফাতেমাকে তার বাড়িতে আসার জন্য বললে রাত ১১টার দিকে ফাতেমা নারায়নগঞ্জের চট্রগ্রাম রোড এলাকার বোনের জামাইয়ের বাসা থেকে বের হয়। পরদিন ২৫ অক্টোবর সকালে তাদের দু’জনের দেখা হয়। ওই দিন দুপুরে ফাতেমা তার ভাই আবদুল আলিমকে ফোনে জানায় সে ভূল করেছে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য। বিকেলে সাগর মোবাইল ফোনে ফাতেমার বড় ভাইকে জানায় ফাতেমা বিষ খেয়েছে তাকে চৌদ্দগ্রাম থেকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফেনী সদর হাসাপাতালে ভর্তির সময় ফাতেমার নাম পরিচয় গোপন করে হাসপাতালের নথিতে মনোয়ারা নাম লিপিবদ্ধ করে সাগর পালিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষনের মধ্যে ফাতেমা মারা গেলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়। পাশ্ববিক নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে ফাতেমার ভাই ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে।
ফেনী মডেল থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সাজিদ কামাল জানান, বিষপানে হত্যার খবর পেয়ে ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব মোর্শেদ হাসপাতালে যেয়ে লাশ দেখেছেন। লাশের ময়নাতদন্তের পর হত্যা না আতœহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান। ঘটনাটি চৌদ্দগ্রামে হওয়ায় নিহতের পরিবার মামলা করতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করতে পারবে। ঘটনার পর থেকে সাগর পলাতক রয়েছে।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অসীম কুমার সাহা জানান, ময়নাতদন্তে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ভিসেরা রির্পোটের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।