শেখ আবদুল হান্নান->>
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা বাসীর জনজীবন।ব্যাহত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছে এলাকার মানুষ।সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস বলছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই লোডশেডিং হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৬৩ হাজার গ্রাহকের চাহিদা গড়ে ১৪ মেগাওয়াট, অথচ সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ৬/৭ মেগাওয়াট।

এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত সরবরাহ করতে না পারলেও প্রতিদিন নতুন নতুন সংযোগ প্রদান করছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ।উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বলছেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সোনাগাজী উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।উপজেলা বাসীদের দাবী বিদ্যুতের উৎপাদন এবং সরবরাহ নিশ্চিত না করে নতুন সংযোগ দিলে ভোগান্তি আরো বাড়বে।

পল্লী বিদ্যুৎ সোনাগাজী জোনাল অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় গ্রাহক সংখ্যা ৬২,৬১৭ জন।বিদ্যুৎ লাইন প্রায় ১২০০ কিলোমিটার।

সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ শাহেদ ক্ষোভের সাথে বলেন, অংকের হিসেবে বিদ্যুতে এ সরকারের তুলনামূলক অনেক সফলতা আছে জানি। তবে এসব সফলতা মোমবাতি বা চার্জ লাইটের আলোয় দেখতে চায় না সাধারণ মানুষ। তীব্র তাপদাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায় বিদ্যুতের উন্নয়নের গান শুনতে চায় না জনগণ।তাপদাহের এই রাতে, অন্ধকারে স্থির হয়ে থাকা ফ্যানের পাখায় ঘামছে অসংখ্য মানুষ। রাতে পরিশ্রান্ত অসংখ্য ঘামে ভেজা শরীর ছটফট করে।সারাদিন কাজ করে পরিশ্রান্ত মানুষ চায় শান্তিতে ঘুমাতে।

সোনাগাজী পৌরসভার ব্যবসায়ী মহীউদ্দিন খোন্দকার জানান, একমাস ধরে সোনাগাজী উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে ।বিদ্যুৎ একবার গেলে দুই ঘন্টা পর আসে, এলেও আবার কিছুক্ষন পর চলে যায়।ঘন-ঘন লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মো: শরিফ বলেন, মিটার রিডাররা যথাযথভাবে মিটার না দেখে পূর্ববর্তী মাসের বিলের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে বিল করেন।পল্লী বিদ্যুতের সেবার মান ও ভাল নয়।অফিসে বারবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনা।তারা আমাদের মানুষও মনে করেননা।ফোন রিসিভ করলেও ভালভাবে কথা বলেন না।

পল্লী বিদ্যুৎ সোনাগাজী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো: মহিউদ্দিন মোশাহেদুল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই লোডশেডিং হচ্ছে। উপজেলার সুলাখালী ও কুঠির হাটে আরো দুইটি সাব ষ্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে,এগুলো চালু হলে লোডশেডিং কমে যাবে।৬টি ফিডারের মাধ্যমে সোনাগাজীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।কোথাও লাইনে গাছ পড়লে অথবা অন্য ত্রুটি দেখা দিলে পুরো পিডারটি বন্ধ থাকে।কারিগরী ত্রুটি ও উন্নয়নমুলক কাজের কারনেও লাইন বন্ধ রাখতে হয়।অনেক সময় খবর না পাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। ইনশাল্লাহ শিগ্রই লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণে আসবে।