বিশেষ প্রতিনিধি->>
নায়করাজ রাজ্জাকের জানাজা মঙ্গলবার বিকেলে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমে দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও পরে এফডিসি চত্বরে তার মরদেহ নেয়া হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু হয় নায়ক রাজ্জাকের।

ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয় রাজ্জাককে। তখন তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেন। ৬টা ১৩ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

মৃত্যুকালে রাজ্জাকের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন। এছাড়া চলচ্চিত্র অঙ্গনের সহযোদ্ধারাও শোক জানিয়েছেন।

রাজ্জাকের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান গাজী মাজহারুল, নায়ক আলমগীর, শাকিব খান, সায়মন, জায়েদ খান, প্রযোজক দিলু, খসরু প্রমুখ।

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।

অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনার কাজও করেছেন রাজ্জাক। ১৬টির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।

রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে- স্লোগান, আমার জন্মভূমি, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, অগ্নিশিখা, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, নাগিন, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার।

সূত্র আরটিভি অনলাইন