এম.এ.হাসান->>
গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া আমেনার পর গৃহকত্রীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন পরশুরামের আরেক গৃহকর্মী ফাতেমা(১৪)।ফেনীর নাজির রোডে একটি বাসায় গৃহকত্রীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসেন ফাতেমা।ফাতেমার বাড়ি পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া গ্রামের কলাবাগান মহল্লায়।ফাতেমার বাবার নাম বছির আহম্মদ।

নির্যাতনের শিকার ফাতেমার মা রাশেদা আক্তার জানান,গত ২ মাস আগে ফেনীর নাজির রোডে বাবু নামের এক মোবাইল দোকান ব্যবসায়ীর বাসায় মাসিক ১৭শ টাকা বেতনে কাজে দেন ফাতেমাকে।কাজে দেয়ার পর থেকে ফাতেমাকে কথায় কথায় মারধর করতেন বাবুর স্ত্রী ঝিলিক।ঠিকমতো খাবারও দেয়া হতনা ফাতেমাকে।গত শুক্রবার সকালে সামান্য কথার অজুহাতে ফাতেমাকে ঝাড়– দিয়ে পিটাতে থাকে গৃহকত্রী ঝিলিক।চোখে মুখে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুসি মারতে থাকে।এক পর্যায়ে গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেস্টা করে।এসময় ঝিলিক বলে‘তোর কেউ নেই,তোকে মেরে ফেললে তোর লাশ নিতে কেউ আসবেনা’।এ সময় ঝিলিকের ফোন বেজে উঠলে ফাতেমাকে ছেড়ে কল রিসিভ করতে যায়।আর সে সুযোগে অন্য আরেকটি বাসায় পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় ফাতেমা।পরের দিন শনিবার তাকে পরশুরামের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠায় আশ্রয়দাতা বাসার মালিক।ওইদিনই তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় পরশুরাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাশেদা আক্তার বলেন,কাজ করতে গিয়ে আমার মেয়ের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ঝিলিক।আমি তার শাস্তি চাই।

মঙ্গলবার সকালে পরশুরাম হাসপাতালের গিয়ে দেখা যায়,ফাতেমার হাতে পায়ে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন।ফাতেমা জানায়,কাজে নেয়ার পর থেকে তাকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো গৃহকত্রী ঝিলিক।
হাসপাতালে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা.আবু তাহের জানান,ফাতেমাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।হাতে পায়ে ইনজুরি রয়েছে।
পরশুরাম থানার ওসি আবুল কাশেম চৌধুরী জানান,আমি বিষয়টি জেনেছি। ওসি (তদন্ত) গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।ঘটনাটি যেহেতু ফেনীতে ঘটেছে তাই নির্যাতিত ফাতেমার বাবা মাকে ফেনী থানায় মামলা করতে পাঠানো হয়েছে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে,গৃহকত্রী ঝিলিক ও তার স্বামী বাবুকে খুজছে ফেনী মডেল থানার পুলিশ।মঙ্গলবার বিকালে গিয়ে দেখা যায়, নাজির রোডে বাবুর বাসা ও দোকান তালাবদ্ধ ।