বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় পাহাড়ে চার লাখ লোককে পূণবাসন করেছে। পাহাড়ের ভারসাম্য নষ্ট করেছে। তাদের অবহেলার কারনে কাজ পাহাড়ের এই অবস্থা। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন কি পাহাড় ছিলো না ? তারা তো ক্ষতিগ্রস্থদের খবর নিতে পাহাড়ে আসেনি। তারা শুধু প্রেস ব্রিফিং করে সীমাবদ্ধ। ৭ দিন পর এখন ফটোসেশানের জন্য তারা আগামীকাল পাহাড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে দেশের সর্ববৃহদ ছয় লেনের ফ্লাইওভারের নির্মান কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী এসময় আরো বলেন, বিএনপির নেত্রী কি কোথাও গেছেন ? উপকূলে গেছেন, হাওড়ে গেছেন, পাহাড়ে গেছেন ? যারা সমালোচনা করেন তা কি কোন কাজ করেন। কাজেই সমালোচনা না করে বিএনপিকে আমি বলি জনগনের পাশে দাড়াঁন। আপনাদের নেতিবাচক রাজনীতি থেকে ইতিবাচক রাজনীতি করুন। আসুন রি-এক্টিভ কথাবার্তা না বলে প্রো-এক্টিভ ভূমিকা পালন করুন।

মন্ত্রী বলেন, পাহাড় থেকে সমস্ত বসতি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত প্রভাবশাহী হউক না কেন করো কোন বাঁধাই মেনে নেওয়া হবে না। আগামী চার দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক হবে। এইক সাথে ক্ষতিগ্রস্থ বান্দরবন-চট্টগ্রাম সড়কেরও মেরামত কাজ চলছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছে।

ফ্লাইওভারের কাজ পরিদর্শনের সময় সহকারী প্রকল্প পরিচালক কর্নেল জামিউল ইসলাম, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর ফয়সাল চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) উক্ক সিং, ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র স্বপন মিয়াজি, জেলা যুবরীগের সাধারণ সম্পাদক শুশেন চন্দ্র শীলসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।