বিশেষ প্রতিনিধি->>

ফেনীর ফুলগাজীর জিএমহাটে বুধবার সন্ধ্যায় নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাতে নিহত মা বিবি ফাতেমা সাথী ও মেয়ে ইসমার তোষক পেঁছানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের পাসপোর্ট মনিরের বাড়িতে মৃত মনির আহাম্মদ ভূঁঞার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম,তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে বিবি ফাতেমা সাথী(২৬) ও নাতনী ইসমা (৬) বসবাস করতো। বুধবার সকালে হোসনে আরা বেগম তার মেয়ে বিবি ফাতেমা ও নাতনী ইসমাকে নিজের বাড়িতে রেখে তাঁর ছোট মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। বুধবার দুপুর পর্যন্ত বাড়ির লোকজন সাথী ও তার মেয়ে ইসমাকে বাড়িতে চলাফেরা করতে দেখেন। বিকেল থেকে তাদের ঘরের দরজা বন্ধ ও কোন সাড়া শব্দ শোনা যায়নি। সন্ধ্যার পর এক অত্মীয় এসে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির অন্যান্য লোকজনসহ ঘরে ঢুকে খাটের ওপর একটি তোষক পেঁছানো অবস্থায় সাথীর পা দুটি বাইরে ঝুলতে দেখেন । পরে তোষকের মধ্যে মেয়ে ইসমাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবার জানায়, ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের রাণীর হাট ভূঞা বাড়ীর আব্দুল লতিফ রঙ্গিন কোম্পানীর ছেলে শাহাদাত হোসেন রিমন(৩৫)এর সাথে ফুলগাজীর জিএমহাট ইউনিয়নের পূর্ব বশিকপুর গ্রামের মনির আহাম্মদের মেয়ে বিবি ফাতেমা সাথীর ৭-৮ বছর আগে বিয়ে হয়।তাদের সংসারে ইসমা নামে ৫বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে যৌতুকসহ নানা বিষয়ে সাথীকে নির্যাতন করতেন রিমন। এনিয়ে রিমনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলাও হয়। প্রায় ৬/৭মাস আগে স্বামীর সাথে সাথীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
নিহত সাথীর পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী সাথী ও তার মেয়ে ইসমা হত্যাকান্ডের সাথে সাবেক স্বামী রিমন জড়িতে পারে বলে সন্দেহ করছেন।তারা জানান বাড়ীতে কেউ না থাকায় রিমনের লোকজন পরিকল্পিতভাবে সাথী ও তার মেয়ে ইসমাকে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে রাতে ফুলগাজী থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
রতেই ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় ও পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করেছে।