বিশেষ প্রতিনিধি->>

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের সকালের নিয়োগ পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি) বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দুই লাখের বেশি প্রার্থী থাকায় গত শুক্রবার সকালে ও বিকেলে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদে নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার সময় নির্ধারিত ছিল। আগেই এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সত্ত্বেও সকালের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর বিকেলের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সকালের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও পরীক্ষা গ্রহণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ।

জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে পরীক্ষা বাতিল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া ব্যাংকিং বিভাগও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এখন তারা সকাল ও বিকেলের দুটো পরীক্ষাই একসঙ্গে নেওয়ার চিন্তা করছে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের চেয়ারম্যান আবু তালেব আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা জানতে পেরে তাঁরা ওই দিন বিকেলের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। তবে সকালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে, সেটা তাঁরা পরীক্ষার পরে জানতে পারেন। এখন পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁরা সকালের পরীক্ষা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কমিটির সব সদস্যরা বৈঠক করে এ বিষয়ে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগের আরেকজন অধ্যাপকও একই তথ্য জানান।

বিভাগের চেয়ারম্যান আবু তালেব জানান, স্থগিত হওয়া বিকেলের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন তাঁরা সকাল ও বিকেলের পরীক্ষা একসঙ্গে নেওয়ার কথা ভাবছেন। কারণ, একসঙ্গে পরীক্ষা না নিলে নানা প্রশ্ন ওঠে। কেউ বলেন, সকালের প্রশ্ন সহজ। আবার কেউ বলেন, বিকেলেরটা সহজ। আর একসঙ্গে পরীক্ষা নিলে ঝুঁকিও কমে।

সূত্র: প্রথম আলো