দাগনভূঞা প্রতিনিধি ফেনী
দাগনভূঞার উত্তর আলীপুর গ্রামের পাখি বাড়ীর প্রবাসী আবদুল হকের স্ত্রী নিলু বেগমকে একই বাড়ীর আবুল বাসারের স্ত্রী মাসুদা বেগমের সহযোগীতায় কৌশলে অন্যত্র নিয়ে ধর্ষন করে ভিডিও ধারন করেছে মাসুদ এবং রুবেল নামে দুই বখাটে সহ আরো অজ্ঞাত তিনজন। ধর্ষনের পর নিলু বেগমের কানের দুল এবং গলায় স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে পরে ভিডিও ক্লিপটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে বখাটেরা। গত ৩ মে বিকালে উপজেলার সিন্দুরপুর বাজারের পাশে একটি বাড়ীতে এ ধর্ষনের ঘটনার পর গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি জনাজানি হয়। কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় চৌকিদার বাসারের মাধ্যমে নিলু বেগম মেম্বার আবুল কাসেমকে জানায়। পরে নিলু এবং মাসুদাকে মেম্বার কাসেম দাগনভূঞা থানার ওসির নিকট সোপর্দ করেন। নিলু বেগমের অভিযোগ মাসুদা কৌশলে তাকে সিএনজি করে সিন্দুরপুরে নিয়ে বখাটেদের কাছে তুলে দেয়। মাসুদার দাবী তাকে সঙ্গে নিয়ে নিলু স্ব-ইচ্ছায় এ খারাপ কাজটি করতে গিয়ে বখাটের খপ্পরে পড়ে এখন দোষ দিচ্ছে তার।
থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন মাসুদা এবং নিলুকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে সাংবাদিকদের জানান,বখাটে মাসুদ এবং রুবেলের পরিচয়ের ব্যাপারে এ দুই মহিলা মুখ খুলছেনা, তবে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে এবং আরো তদন্তের পর বিষয়টি নিয়ে মামলা নেয়া হবে। অফিসার ইনচার্জ আরো জানান,উক্ত দুই মহিলা নষ্ট প্রকৃতির। নিলু বেগম স্বভাবগত ভাবেই নষ্ট আর মাসুদা বেগম হচ্ছে অভাবে। গত ৩ মে নিলু বেগম তার ননদের বাড়ীতে এক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রনে আসেন। মাসুদা বেগম একটি সিএনজি ভাড়া করে দাগনভূঞা পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে অপেক্ষা করে নিলুকে ফোন করে আনেন। একপর্যায়ে নিলুকে সিএনজিতে নিয়ে বখাটে মাসুদ সহ মাসুদা সিন্দুরপুর বাজারের পাশে একটি বাড়ীতে নিয়ে যান। সেখানে ছিল আরো ৪ বখাটে। এক বখাটে নিলুকে ধর্ষন করতে গিয়ে দেখেন নিলুর মাসিক জরছে। পরে অন্য বখাটেরা ধর্ষন না করলেও ধর্ষনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারন করেন। পরে বখাটেরা নিলুর কানের দুল, স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে ভিডিও ক্লিপটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ দাবী করে। কোন ভাবে সেখান থেকে তারা ফিরে এসে মাসুদা এবং নিলুর অমিলের কারনে বিষয়টি থানা পযন্ত আসে।