বিশেষ প্রতিনিধি->>
ফেনীতে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমা শহরের অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দেবীপুরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে তবলিক জামায়াতের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইজতেমা শুরু হবে।
সূত্র জানায়, ইজতেমা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ দেড় মাস ধরে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ৬শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিরলস প্ররিশ্রম করে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত করেছে। শহরতলীর দেবীপুর সুলতানিয়া মাদরাসা সংলগ্ন বিশাল মাঠে ৬ লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে।
মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে নির্মাণ করা হয়েছে বয়ান মঞ্চ।

সূত্র আরো জানায়, ইজতেমার মাঠে ৩লাখ মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আরো ২ থেকে তিন লাখ মানুষ বয়ান শুনতে পারে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠের চারপাশে ১২টি পাম্প, ৮শ’ পায়খানা ও ৬শ’ প্রস্রাব খানা ও মাঠে নামাযের কাতারের জন্য দাগ টানা হয়েছে।এদিকে
ইজতেমা চলাকালে ময়দান ও আশপাশজুড়ে প্রায় ৫শ পুলিশ পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্বে থাকবেন।
এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব-বিজিবি’র টহল রাখা থাকবে। মাঠের চারপাশের ৮টি ওয়ার্চ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। যে গুলো থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দেবেন।
জেলা সিভিল সার্জানের পক্ষে থেকে ইজতেমায় আগত অসুস্থ্য রোগীদের সেবা দিতে মেডিকেল টিম রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারী উদ্যোগে ইজতেমার চার পাশে ম্যাডিকেল টিম, খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
ইজতেমার আমীর হাফেজ মাওলানা নুর উদ্দিন জানান, ইজতেমার সকল কাজ শেষ হয়েছে। এদিকে ইজতেমায় প্রধান প্রবেশপথের ডানপাশে তৈরি করা হয়েছে জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম। এরপাশেই রয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ফ্রি সেবা প্রদান ক্যাম্প।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানের চারপাশে ৫টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টাওয়ারে একজন সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ৩ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ময়দানে প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় আশপাশ ও প্রবেশপথে চেকপোস্ট থাকবে। এছাড়া বিদেশি মুসল্লিদের জন্য পোশাকধালী ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ময়দানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কসহ আশপাশের সড়কগুলোতে পুলিশের মোবাইল টিম তৎপর থাকবে।এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ছিনতাইকারী, মলম পার্টি ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রি বন্ধে তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।বুধবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার রেজাউল হক। এসময় তিনি বয়ান মঞ্চ (মিম্বর) ও বিদেশি মুসল্লিদের কামরা পরিদর্শন করে ইজতেমার মুরুব্বিদের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) উক্য সিং, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মো: খালেদ হোসেন, ফেনী মডেল থানার ওসি মো: রাশেদ খান চৌধুরীসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।