বিশেষ প্রতিনিধি->>
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক পিপিএম দ্বিতীয় বারের মতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অসদ উপায় অবলম্বন না করে পদোন্নতি প্রাপ্ত ৫৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন থানা ও পুলিশ দপ্তরে পদায়ন করেছেন। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশের কনফারেন্স (গণমিলনায়ত) কক্ষে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আলম সরকার জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয় ফেনী জেলায়। পদায়ন প্রাপ্ত এসব কর্মকর্তাদের কর্মস্থল নির্ধারণ করার জন্য বুধবার বিকেলে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। জেলার ৬টি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইনে সংযোজনের জন্য ৮ জন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ৫ জন নারীসহ ৩৫ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মধ্যে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারির মাধ্যমে পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি প্রাপ্ত ১৩ জন নায়েক কে বিভিন্ন থানায় পদায়ন করা হয়েছে। ফেনী জেলা পুলিশে যোগদান করা পদোন্নতি প্রাপ্ত এসব কর্মকর্তারা বুধবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করবেন।
এসময় পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়াও সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মো. খালেদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক পিপিএম বলেন, পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যখন ফেনীতে পদায়ন করা হয় তখন অনেক কর্মকর্তা উপরের মহল থেকে তদবির করেছে ‘ভালো’ জায়গায় পদায়ন করার জন্য। জেলার পুলিশ প্রধান হিসেবে অসদ উপায় অবলম্বন না করে তদবির বানিজ্য প্রতিহত করতে তিনি লটারির মাধ্যমে পদায়নের ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে পদায়নপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কোন ধরনের ‘লোভ’ বা ‘ক্ষোভ’ থাকার অবকাশ থাকলো না। তিনি আরো বলেন, তার মতো অন্যান্য কর্মকর্তা এধরনের উপায় অবলম্বন করলে পুলিশ বিভাগ মাথা উচু করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর পদোন্নতি প্রাপ্ত অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাকে পদায়নের সময়ও লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, ফেনী জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ২৬৪টি নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। শুণ্য পদগুলোতে ধাপে ধাপে নতুন নতুন কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদায়ন করা হচ্ছে।