ডেস্ক রির্পোট->>
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য কেনা দুটি সাবমেরিন চীন থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবমেরিন দুটো বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সারওয়ার জানান, চীনে তৈরি সাবমেরিন দুটি বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া পাঁচটায় চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) এক নম্বর জেটিতে এসে পৌঁছায়।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর চীন থেকে কেনা প্রথম সাবমেরিনটি বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী করা এবং বঙ্গোপসাগরের বিস্তৃত সাগর এলাকা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পাহারা দেওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনে এসব সাবমেরিন চীন থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে।   
আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৪ নভেম্বর চীনের লিয়োনিং প্রদেশের দালিয়ান শহরের লিয়াও নান শিপইয়ার্ডে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সাবমেরিনগুলো গ্রহণ করেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাজিমুদ্দিন আহমেদ।  
আইএসপিআর এর মুখপাত্র সৈয়দা তাপসী রাবেয়া স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ০৩৫ জি ধরনের সাবমেরিনগুলো আগামী বছরের শুরুতে নৌবহরে যুক্ত হবে। এদুটি সাবমেরিনের নাম রাখা হয়েছে ‘বিএনএস নবযাত্রা’ ও ‘বিএনএস জয়যাত্রা’।  
এ দুটো সাবমেরিন নির্মাণে সরকারের ২০৩ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত ০৩৫ জি ধরনের এই সারমেরিনকে চীনে ‘মিং ক্লাস’ সাবমেরিন বলা হয়। এগুলো ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন।অত্যাধুনিক এই ঘরানার সাবমেরিন এ পর্যন্ত মাত্র ১২টি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯০ থেকে ৯৯ সালের মধ্যে এসব সাবমেরিন কমিশন করা হয়। প্রচলিত সাবমেরিনের চেয়ে শব্দ দূষণ কমিয়ে আনা, অস্র্ , সেন্সর ও নাবিকদের স্বাচ্ছন্দ্যের বিভিন্ন দিকের উন্নয়ন করা হয়েছে এসব সাবমেরিনে।