বিশেষ প্রতিনিধি->>
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল হক হত্যা মামলার ধার্য তারিখে সোমবার দুইজন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের কথা থাকলেও তাঁরা আদালতে হাজির হননি। ফলে এ মামলার কোন কার্যক্রম চলেনি। আগামী ৪ জানুয়ারি/১৭ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য করা হয়েছে।
ফেনী জজ আদালতের সরকারী কৌঁসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানায়, গতকাল ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে সাক্ষী দুইজন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদানের জন্য হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা আদালতে হাজির হায়নি। ফলে এ মামলার কোন কার্যক্রম চলেনি।
তিনি জানান, একরাম হত্যা মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে এ যাবত ২১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৬ জন আসামীর মধ্যে ৪৬ জন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জন জামিনে রয়েছেন। গতকাল ফেনী কারাগারে থাকা ৩৩ জন ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা ৫ জন আসামীকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আট জন আসামী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে কারাগারে থাকা তাদেরকে আবারও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আদালত সুত্র জানায়, চেয়ারম্যান একরাম হত্যার ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছর ২৮ আগষ্ট মোট ৫৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ যাবত ৪৬জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার ১৫ জন আসামী কোন না কোনভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার ১০ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছেন।
৫৬ আসামীর মধ্যে একমাত্র বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী ছাড়া অন্য সব আসামী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে একরামের মূল প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন।
প্রসঙ্গত;২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ীর গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে আসামীরা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।