প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেছেন, ‘অতীত স্মরণে থাকার জন্য মাঝে মাঝে কিছুটা লোডশেডিং হওয়া ভাল। এটাও আল্লাহর এক ধরণের রহমত….। লোডশেডিং না হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উত্পাদনে যে উন্নতি হয়েছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে।’
কক্সবাজারের মহেশখালীতে যৌথভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণে আজ মঙ্গলবার চীনের ‘চায়না হুয়াদিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিটেড’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি)। সমঝোতা স্মারকের সই শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াট, তবে সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি উত্পাদন সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট উত্পাদনকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছে। আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী একটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দাবদাহের কারণে তাঁদের সর্বোচ্চ উত্পাদন করতে পারছে না।

মহেশখালীর প্রস্তাবিত বিদ্যুেকন্দ্রের অন্তত একটি ইউনিট এ সরকারের মেয়াদে, আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ করার জন্য চীনা প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আহ্বান জানান তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী জানান, বাগেরহাটের রামপালে একই ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।  তিনি বলেন, এ দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই আদর্শ প্রযুক্তির ব্যবহার অনুসরণ করা হবে, যাতে অতি কম মাত্রায় দূষণ হয়। এসব কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হবে অত্যন্ত কার্যকরী।

সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন, বিদ্যুত্ সচিব মনোয়ার ইসলাম, পিডিবির চেয়ারম্যান আবদুহু রুহুল্লাহ এবং চীনের হুয়াদুয়ান করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট চেন নিওনগাও।