শাস্তি দেওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা বা জিএসপি স্থগিত করেনি বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ডিলানি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তার মতে, বাংলাদেশ যেন শ্রমিক অধিকার এবং কারখানার পরিবেশ নিরাপদ করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়, সে জন্যই এটা করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় মাইকেল ডিলানি এ কথা বলেছেন। রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আজ রোববার দুপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
টিকফার বৈঠকে যোগ দিতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলটির প্রধান মাইকেল ডিলানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০৯ সালে যেখানে ছিল ৪০০ কোটি ডলার, ২০১৩ সালে তা ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। রপ্তানি বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। ২০০৯ সালে বিশ্ব মন্দার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছিল ১১ শতাংশ। গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ, যার পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। চলতি বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করেন তিনি।

অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব উল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় এ দেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শাহজাহান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।